গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার উপায় বাংলাদেশে
আপনারা যারা গ্রামীন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য
আজকে আর্টিকেলটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। লেখাটিতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন
তোলার উপায় বাংলাদেশে কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে।
বাংলাদেশে গ্রামীন ব্যাংক থেকে লোন তোলার সকল নিয়ম কানুন গুলো নিয়ে আজকের
আলোচনায় আমরা বিস্তারিত জানব কিভাবে বাংলাদেশের দরিদ্র গোষ্ঠীকে গ্রামীণ ব্যাংক
লোন দিয়ে সহায়তা করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার উপায় বাংলাদেশে
- গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে জানুন
- গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে জানুন
- গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও শর্তাবলী
- গ্রামীণ ব্যাংকে লোনের প্রকারভেদ
- গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প
- গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ প্রকল্প
- গ্রামীণ ব্যাংকের কৃষি ঋণ প্রকল্প
- গ্রামীণ ব্যাংকের হাউসিং ঋণ প্রকল্প
- গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তার ঋণ প্রকল্প
- গ্রামীণ ব্যাংকের পশু সম্পদ ঋণ প্রকল্প
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাংকগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক অন্যতম। এটি বিশ্বের
প্রথম ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনপ্রিয়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা
স্যার ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অবদানের জন্য
গ্রামীণ ব্যাংকের বদৌলতে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক
শাখায় উপস্থিত হয়ে তাদের সদস্য হতে হবে। এরপরে ব্যাংকের ম্যানেজারের থেকে লোন
আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে সেটিকে পূরণ করতে হবে। তারপরে প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে পুনরায় ব্যাংকে ফর্মটি জমা দিতে হবে। সব তথ্য গুলো
সঠিকভাবে প্রদান করলে এবং সঠিকভাবে ফরম পূরণ করলে আশা করা যায় ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার
মধ্যে আপনার লোন আবেদনটি এপ্রুভ হয়ে যাবে।
তবে, গ্রামীণ ব্যাংকের লোন ইন্টারেস্ট রেট মাত্র ৬% তবে কোন কোন খাতে
এর থেকে বেশি হতে পারে। অন্যান্য সকল ব্যাংকের তুলনায় গ্রামীণ ব্যাংক সর্বনিম্ন
ইন্টারেস্ট রেট বা সুদের হারে লোন প্রদান করে থাকে এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের জনগণকে
আর্থিকভাবে সচ্ছল করার উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে জানুন
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে জানুন, যা আমরা পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর প্রতিষ্ঠা এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নতির করার উদ্দেশ্যে কাজ করে আসছে যার ফলশ্রুতিতে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক
- খুব সহজ পদ্ধতিতে দ্রুত লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
- লোনের প্রকারভেদ হিসেবে মুনাফার হার কমবেশি হয়।
- অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুদের হার অনেকটাই কম।
- নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর প্রতি মাসে মাসিক কিস্তিতে লোনের টাকা পরিশোধের সুবিধা।
- শিক্ষার্থী অবস্থায় লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনি যতদিন শিক্ষার্থী আছেন ততদিন লোন পরিশোধ করতে হবে না।
- প্রাথমিক অবস্থায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন করতে পারবেন।
- কৃষি লোন ও ক্ষুদ্র লোন ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
- এছাড়াও অল্প কিছু দরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিয়ে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক রিলস বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ ভিউ কত টাকা দেয়?
গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও শর্তাবলী
গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও শর্তাবলীর বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে;
- আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপির প্রয়োজন হবে
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- শুধুমাত্র শিক্ষার লোন ব্যতীত অন্যান্য লোনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে বিবাহিত হতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজস্ব বাড়ি থাকতে হবে।
- লোনের ৫% সার্ভিস চার্জ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
- প্রথমবার সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারব।
- আবেদনকারীর চারিত্রিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে। (উচ্চস্বরের সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত)
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
- বিশেষ ক্ষেত্রে নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
গ্রামীণ ব্যাংকে লোনের প্রকারভেদ
গ্রামীণ ব্যাংকে লোনের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম যেগুলো আছে তার মধ্যে
- গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ
- গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ
- গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি ঋণ
- গ্রামীণ ব্যাংক হাউসিং ঋণ
- গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা ঋণ
- গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ ঋণ
বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে এই ৬ অন্যতম। আপনারা গ্রামীণ ব্যাংকের শর্ত মেনে এই সকল খাতে খুব সহজেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ রমজান মাসের ৩০ টি রোজা রাখার ফজিলত ও গুরুত্ব
গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প
গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে আপনি খুব সহজে লোন টি পেয়ে থাকবেন। এই ঋণ
গ্রহণ করার জন্য আপনাকে .৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করতে হবে। তবে টিমের মধ্যে
যদি কেউ ভূমিহীন থাকে এবং যদি কেউ জমিদার থাকে সেক্ষেত্রে ওই ভূমিহীন ব্যক্তির
দায়ভার জমিদারের গ্রহণ করতে হবে। তথা টিম বিভক্তি হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন
গ্রহণ করতে পারবেন না। প্রতি সপ্তাহে গ্রামীণ ব্যাংকের একজন কর্মী এসে নির্ধারিত
কিস্তির টাকা জমা নেবে।
ক্ষুদ্রঋণের আওতায় সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণের জন্য আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ
ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে লোন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে
লোনের জন্য আবেদন করতে পারবণ।
গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ প্রকল্প
গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ প্রকল্প থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে লোন পাওয়ার জন্য
অবশ্যই আপনাকে সর্বনিম্ন এক বছর গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হয়ে থাকতে হবে এবং যে
শিক্ষার্থীর নামে লোন নেয়া হবে তার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় লোন পরিশোধ করার প্রয়োজন নেই। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে
শিক্ষার্থীরা খুব সহজ শর্তে কয়েকটি বিশেষ খাতে শিক্ষা ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
যেমনঃ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট, MA/MS/MBA এর স্টুডেন্ট, পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, গ্রামীণ ব্যাংকের আওতাভুক্ত 17 টি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, মেডিকেলের স্টুডেন্ট।
আরও পড়ুনঃ কাপড় শুকাতে গিয়ে যে গোপনীয়তা হারিয়ে ফেলেন আপনি
গ্রামীণ ব্যাংকের কৃষি ঋণ প্রকল্প
গ্রামীণ ব্যাংকের কৃষি ঋণ প্রকল্প বাংলাদেশকে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে। বাংলাদেশ
একটি কৃষি নির্ভর দেশ দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক আর্থিকভাবে
অসচ্ছল। বাংলাদেশের কৃষকদের গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে এসেছে কৃষি ঋণ প্রকল্প। গ্রামীণ
ব্যাংকের কৃষি ঋণের সুদের হার মাত্র ৬% সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য পাওয়া যাবে। এই
ঋণ গ্রহণ করার জন্য কৃষকের নিজস্ব জমি থাকতে হবে এবং কৃষি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে
হবে গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি খাতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে লোন প্রদান করে। যেমনঃ
- কৃষি উৎপাদন ও বিপণন
- কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ক্রয়
- কৃষিবিজ ও সার কীটনাশক ক্রয়
- মৎস্য চাষ ও পশুপালন
- কৃষি জমি ক্রয়
- বিভিন্ন কৃষি ব্যবসায় বিনিয়োগ
গ্রামীণ ব্যাংকের হাউসিং ঋণ প্রকল্প
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ প্রকল্পের সাধারণত আর্থিক অসচ্ছল ব্যক্তিদের ঘরবাড়ি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে লোন প্রদান করে। ১৯৮৪ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের হাউজিং ঋণ
প্রকল্প চালু হয়। ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য হাউসিং ঋণ প্রকল্পের আওতায় সর্বোচ্চ
৬০ হাজার টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবেন। তবে লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে সব থেকে বড়
সুবিধা হলো প্রতি সপ্তাহে অল্প অল্প করে লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। হাউসিং
ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে লোন প্রদান করা
হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ প্রকল্প
উদ্যোক্তারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এবং দরিদ্র
মুক্ত দেশ গড়া অঙ্গীকার লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা ঋণ প্রকল্প সেবাটি
চালু করে রেখেছে। এই ঋণ প্রকল্পে আওতায় ব্যবসায়িক কাজের জন্য উদ্যোক্তারা লোন
গ্রহণ করতে পারবে।
সাধারণত পণ্য ক্রয় বিক্রয়, যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয়, বিজ্ঞাপন ও
প্রচার অফিস ও কলকারখানা নির্মাণ, কর্মচারী নিয়োগ সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই
প্রকল্প লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এ লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র ৬% এবং মেয়াদ
২ বছর। তবে বিশেষ কন্ডিশন অনুযায়ী মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
উদ্যোক্তা ঋণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীর বয়স ১৮ বেশি হতে হবে। পাশাপাশি
ব্যবসায়িক আয়কর সনদ ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সেবা
নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ নিয়মিত রক্ত দানের গুরুত্ব ও উপকারিতা আলোচনা: ১০টি জরুরী তথ্য
গ্রামীণ ব্যাংকের পশু সম্পদ ঋণ প্রকল্প
বাংলাদেশ একটি গ্রাম ভিত্তিক দেশ। সাধারণত বাংলাদেশের অনেক জনগণ পশু সম্পদের উপর
নির্ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে পশু সম্পদের মধ্যে রয়েছে গরু ও ছাগল ভেড়া
ও মহিষ হাঁস ও মুরগি এবং মাছ ইত্যাদ।
আপনি পশু পালনের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট প্রদান করে পশু সম্পদ লোন গ্রহণ করতে পারবেন তবে এজন্য আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে পশু পালনের যথেষ্ট দক্ষতা পারদর্শিতা থাকতে হবে এবং নিজস্ব খামার দেখাতে হবে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশা করি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বর্তমানে খুব সহজে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করা সম্ভব লোন গ্রহণ সম্পর্কে এবং অন্য কোন তথ্য সম্পর্ক জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন।
আমাদের বঙ্গ’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url